আমার দাদা সব সময় একটি পুরানো প্রবাদ বলতেন, ছাগল যদি ছাগীকে অবমূল্যায়ন করে, ছাগী তখন অন্য ছাগলের সন্ধানে নামে। বিশেষ করে স্বামীর কাছ থেকে যদি স্ত্রী আদর-ভালোবাসা না পায়, তাহলে তার মন এমন লোকের কাছে যেতে চায়, যে মিষ্টি কথা বলতে পারে।
এ ধরনের উপমা দিয়ে পুরুষ ও নারীকে ছাগ ও ছাগীর সাথে তুলনা আমার উদ্দেশ্য নয়। এ প্রবাদ বাক্যের উদ্দেশ্য হলো নারী-পুরুষকে অর্ধাঙ্গিনী, জীবনসঙ্গিনী হিসেবে বিবেচনা করা।
বর্তমান সমাজ ও সভ্যতা বিনির্মাণে পুরুষ যেমন অগ্রণী ভূমিকা রাখে ঠিক তেমনই একজন নারীর ভূমিকাও কম নয়। পুরুষকে যদি মহান আল্লাহ দিয়ে থাকেন সুসংগঠিত দেহষৌব, তাহলে নারীকে দান করেন সুগভীর আবেগ- অনুভব। ইতিহাসের কত রাজা-বাদশাহ, বীর-বাহাদুরকে আমরা দেখেছি, নারীমনের আবেগ-উচ্ছ্বাস ভালোবাসার কাছে অবনত হয়েছে তাদের শৌর্য- বীর্য। নারীর সাথে আচার-ব্যবহারের দক্ষতাকেও আয়ত্ত করতে হবে। গভীর ভালোবাসা দিয়ে তার অন্তর জয় করার এবং হৃদয়ের বদ্ধ দরজা খোলার চাবিকাঠি হাতে নিতে হবে। নারী-মন জয়ের সে চাবিটি হলো আবেগ-অনুভূতি! অবশ্যই তার সাথে জয় লাভ করতে চাইলে তাঁর হাতিয়ার আপনাকে প্রয়োগ করতে হবে।
রাসূল (সা.) নারীর প্রতি সদাচরণের আদেশ করেন। নারীর আবেগ ও ভালোবাসকে সম্মান করতে বলেছেন। কেননা, ঘরের মহিলার সাথে আচরণ সুন্দর হলে তার নিকট আপনার জীবনযাপনও হবে সুখ ও শান্তিময় জীবন। নবিজী (সা.) পিতাকে তার মেয়েদের প্রতি সদ্ব্যবহার করতে বলেছেন: مَنْ عَالَ جَارِيَتَيْنِ حَتَّى تَبْلُغَا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَنَا وَهُوَ
যে ব্যক্তি দু’টি মেয়ে সাবালক হওয়া পর্যন্ত প্রতিপালন করবে, হাশরের মাঠে আমি ও সে এভাবে থাকবো। এ কথা বলে রাসূল (সা.) হাতের দুটি আঙ্গুল একত্র করে দেখালেন।
নবিজী (সা.) নারীদের সম্পর্কে সন্তানগণকেও এমন আদেশ দিয়েছেন। এক ব্যক্তি নবিজীকে বলেন, হে রাসূল। মানুষের মধ্যে আমার উত্তম সাহচর্যের কে বেশি হকদার? রাসূল (সা.) বলেন, তোমার মা। লোকটি বলল, তারপর? তোমার মা। তারপর? তোমার মা। চতুর্থবার নবিজী (সা.) বলেছেন, তোমার বাবা।
এমনিভাবে তিনি স্বামীকেও স্ত্রীর সাথে উত্তম আচরণের নির্দেশ দিয়েছেন। যে স্ত্রীর সাথে রেগে যায় এবং দুর্ব্যবহার করে, রাসূল (সা.) তার কঠোর নিন্দা করেন। আফসোসের বিষয় হচ্ছে। রাসূল (সা.)-এর সিরাত নিয়ে একটু ভাবুন, বিদায় হজ্জের খুতবা চলছে। রাসূল (সা.) সামনে উপস্থিত সোয়া লক্ষ সাহাবি। শেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ, কিশোর-বৃদ্ধ, ধনী-দরিদ্র সকলে আজ উপস্থিত। রাসূল (সা.) সকলের উদ্দেশ্যে বলেন: أَلَا اسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا، اسْتَوْصُوْا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا
আর শোনো হে লোকসকল! নারীদের সাথে সদ্ব্যবহারের ব্যাপারে উপদেশ গ্রহণ করো। শোন, নারীদের সাথে সদাচরণ করবে।’
একবার নবীপত্নীগণের কাছে কিছু মহিলা এসে তারা তাদের স্বামীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করল। রাসূল (সা.) এ কথা শুনে সাহাবায়ে কেরামের ডেকে বলেন, মুহাম্মাদের পরিবারবর্গের কাছে অনেক মহিলা আগমন করে ও তাদের স্বামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। শুনে রাখো, এ সকল স্বামীরা তোমাদের ভালো লোকদের অন্তর্ভুক্ত নয়।
উত্তম আখলাক সম্পর্কে রাসূল (সা.) আরো বলেন: خَيْرُكُمْ خَيْرُكُمْ لِأَهْلِهِ وَأَنَا خَيْرُكُمْ لِأَهْلِي
তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম তারা, যারা পরিবারের লোকজনের নিকট ভালো। তোমাদের মধ্যে আমি সবচেয়ে বেশি পরিবারের লোকজনের নিকট সর্বোত্তম।
এমনিভাবে ইসলাম নারীকে এতটাই মর্যাদা দিয়েছে, একজন নারীর সম্মান মর্যাদা রক্ষার্থে দেশে দেশে যুদ্ধ বেধে যেতো। একজন অবলা নারীর আক্রর হেফাযত করতে গিয়ে রক্তের বন্যা বয়ে যেতো। একজন নির্যাতিত নারীর কান্না থামাতে প্রয়োজনে বহু শির উচ্ছেদ করা হতো।
মুসলমানদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে মদিনায় কিছু ইহুদীও বসবাস করতো। পর্দার বিধান অবতীর্ণ হলে তারা ক্ষুব্ধ হলো। মুসলিম মহিলাদের পর্দাবৃত অবস্থা তাদের পছন্দ হলো না। প্রথমে তারা চেষ্টা করল মুসলিম নারীদের মাঝে দ্বিধা ও বিশৃঙ্খলার বীজ বুনতে। চির অভিশপ্ত ইহুদী জাতি তাতে সফল হলো না।
একদিন একজন মুসলিম নারী বনু কায়নুকার বাজারে গেলেন। তিনি ছিলেন পর্দাবৃত, সতী-সাধ্বী একজন নারী। বাজারে গিয়ে তিনি এক ইয়াহুদি স্বর্ণকারের দোকানে বসেন। ধূর্ত ইহুদীরা তার মুখে হিজাব দেখে ও তার চারিত্রিক নিষ্কলুষতা দেখে মনে মনে ভীষণ রাগান্বিত হলো। তারা তার মুখম-ল এক পলক দেখার জন্য মনে মনে কুচিন্তা কামনা করেন। তাকে স্পর্শ করা ও তাকে নিয়ে খেলা করার অপবিত্র কামনা তাদের পাপী মনে জেগে উঠলো।
আইয়ামে জাহেলিয়াত তথা ইসলামপূর্ব সময় নারীদের নিয়ে তারা যে ধরনের তামাশা করতো, এই মুসলিম মহিলার সাথেও তারা তাই করতে চাইলো। তারা তার চেহারা উন্মোচন করতে পীড়াপীড়ি আরম্ভ করলো ও হিজাব খুলে ফেলার জন্য তাকে ফুসলাতে শুরু করে।
এই মহিয়সী নারী তাতে অস্বীকৃতি জানালেন ও অপছন্দভরে তা প্রত্যাখ্যান করেন। এভাবে অবলা নারী আনমনে বসে ছিলেন। চিরাচরিত অভ্যাস অনুযায়ী অভিশপ্ত স্বর্ণকার ইয়াহুদি শয়তানী ফন্দি আঁটলো। সে মহিলার অগোচরে পেছন থেকে তার কাপড়ের নিম্নাংশ ওপরের ওড়নার সাথে বেঁধে দিলো। কাজ শেষে মহিলা যখন যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ালেন, তার কাপড়ের পেছন দিকটা ওপরে ওঠে গেল এবং শরীরের কিছু অঙ্গ উন্মোচিত হয়ে যায়।
তাদের অবস্থা দেখে ইহুদীরা অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে। মহিলা সাথে সাথে চিৎকার করতে থাকেন। তিনি মনে মনে বলেছেন, আফসোস! এরা যদি আমার ইজ্জতে হাত দেয়ার পরিবর্তে আমাকে হত্যা করে ফেলতো! তখন এক মুসলমান বিষয়টি লক্ষ করেন। সাথে সাথে তিনি তরবারি খাপমুক্ত করে অভিশপ্ত স্বর্ণকারকে জাহান্নামে পাঠিয়ে দিলেন। ইহুদীরাও ভীষণ ক্ষেপে যায়। তারা দল বেঁধে এই মুসলমানকে শহীদ করলো।
রাসূল (সা.) যখনই জানতে পারলেন, ইহুদীরা চুক্তি ভঙ্গ করেছে, মুসলিম মহিলাকে লাঞ্ছিত করেছে তখন তিনি ইয়াহুদিদের এলাকা অবরোধ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। দীর্ঘ দিন অবরুদ্ধ থাকার পর তারা আত্মসমপর্ণ করল। আর উপায়ান্তর না দেখে রাসূল (সা.) ফয়সালা মেনে নিতে সম্মত হন।
এমনিভাবে রাসূল (সা.) তাদেরকে শাস্তি প্রদানের ইচ্ছা পোষণ করলে একজন সতী-সাধ্বী নারীর সম্ভ্রমহানির প্রতিশোধ নিতে চাইলেন। মুসলিম নামধারী শয়তানেরা এক দোসর তখন দাঁড়িয়ে যায়। এদের কাছে একজন মুসলিম নারীর ইজ্জত-আব্রুর কোনো মূল্য নেই। মহিয়সী নারীর সম্ভ্রম হেফাযতের সামান্য পরোয়া এদের নেই। অবলা নারীকে ভোগ ও উপভোগের পণ্য বানানোই এদের একমাত্র বাসনা। এক পর্যায়ে মুনাফিক লিডার আবদুল্লাহ বিন উবাই রাসূল (সা.) প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। সে বললো মুহাম্মদ। আপনি আমার মিত্র ইয়াহুদিদের প্রতি অনুগ্রহ করুন।
জাহেলী যুগে এ সকল ইহুদীরা আবদুল্লাহ বিন উবাইয়ের সহযোগী ছিল।র । রাসূল (সা.) তাকে এড়িয়ে গিয়ে তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। যারা সদা সর্বদা মুসলমানদের মাঝে ফিতনা ছড়ানোর চিন্তায় বিভোর থাকে, তাদের ক্ষমার সুপারিশ কেমন করে করল এই মুনাফিক?। হঠকারী এই মুনাফিক নির্লজ্জের ন্যয় আবদার আবেদন করল। রাসূল (সা.)-কে আবারও সে বলল, মুহাম্মদ! আপনি এদের প্রতি সদাচরণ করুন।
এমন পরিস্থিতিতে রাসূল (সা.) এবারও মুসলমানদের ইজ্জত-আব্রু ও আত্মমর্যাদাবোধের কথা চিন্তা করে ইবনে সালুলের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। তখন মুনাফিক লিডার ক্রোধে ফেটে পড়লো। সে রাসূল (সা.) লৌহবর্মের বিভিন্ন খাঁজে হাত ঢুকিয়ে টানাটানি শুরু করে বারবার বলতে শুরু করেন, আমার মিত্রদের প্রতি আপনি সদাচরণ করুন। আমার মিত্রদের প্রতি অনুগ্রহ করুন।
রাসূল (সা.) রাগান্বিত হয়ে তার দিকে ফিরে তাকিয়ে বলেন, ছেড়ে দাও আমাকে। ইহুদিদেরকে মৃত্যু থেকে বাঁচাতে এই মুনাফিক বারবার পীড়াপীড়ি করতে শুরু করেছে। অবশেষে রাসূল (সা.) তার দিকে ফিরে তাকিয়ে বলেন, ঠিক আছে তোমার কথাই রাখলাম।
একদিন রাসূল (সা.) প্রাণদ- থেকে তাদের মুক্তি দিয়ে পবিত্র ভূমি মদিনা থেকে তাদের উচ্ছেদ করে নিজেদের এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দিলেন। একজন মহিয়সী নারীর ইজ্জত-আব্রুর হেফাযতের জন্য প্রয়োজনে এর চেয়েও কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাটাই বাঞ্ছনীয়।
একজন মুত্তাকি মহিলা সাহাবীয়া ছিলেন খাওলা বিনতে সালাবাহ। তার স্বামী আওস বিন সামেত ছিলেন অতিশয় বৃদ্ধ। অল্পতেই তিনি রেগে যেতেন। একবার তিনি গোত্রীয় মজলিস থেকে ফিরে খাওলার কাছে আসেন এবং খাওলাকে একটা কাজ করতে বলেন। এদিকে খাওলা কাজটি করতে অস্বীকৃতি জানালেন। অমনি দুজনের মাঝে বেঁধে যায়।
হঠাৎ করে আওস প্রচ- রেগে গিয়ে বলেন, তুমি আমার জন্য আমার মায়ের পিঠের মতো! এই বলে তিনি রাগ করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন। সেই জাহেলী যুগে কেউ এমন বাক্য উচ্চারণ করেন তার স্ত্রী তালাক হয়ে যোতো। এ সম্পর্কে ইসলামের বিধান কী খাওলার তা জানা ছিল না।
আওস ঘরে ফিরে দেখেন, খাওলা তার থেকে দূরে দূরে থাকছেন। খাওলা তাকে বলেন, আল্লাহর সপথ! যার হাতে আমার প্রাণ! তুমি যা বলার তা বলেই ফেলেছো। এ সম্পর্কে রাসূল (সা.)-এর ফয়সালা ছাড়া তুমি আমার কাছে আসতে পারবে না। খাওলা রাসূল (সা.)-এর কাছে রওয়ানা হলেন। রাসূল (সা.)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে স্বীয় স্বামীর সম্পর্কে অভিযোগ করেন। স্বামীর পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত যেসব দুর্ব্যবহারের ও অসদাচরণের শিকার হতেন, তা রাসূল (সা.)-কে জানালেন।
রাসূল (সা.) সবকিছু শুনে তাকে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়ে বলেন, হে খাওলা! তোমার চাচাতো ভাই স্বামী একজন বয়োবৃদ্ধ মানুষ। তার সম্পর্কে আল্লাহকে ভয় করো। রাসূল (সা.)-এর কথা শুনে খাওলা কোনোভাবে কান্না সংবরণ করতে পারলেন না, হে রাসূল! আমার যৌবন তার হাতে তুলে দিয়েছি। আমার উদরকে তার সন্তান ধারণের জন্য তার কাছে সঁপে দিয়েছি। এখন আমি আমার জীবন সায়াহে উপনীত। সন্তান ধারণের ক্ষমতা আমার নেই। আজ এই পরিস্থিতিতে সে আমার সাথে যিহার করল? হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছেই অভিযোগ করছি ঠিক ওই সময় এমনভাবে রাসূল (সা.) ওহীর অপেক্ষা করতেন। খাওলা তখনো রাসূল (সা.)-এর নিকট উপস্থিত। ইতোমধ্যে জিবরাঈল (আ) উপস্থিত হলেন। উদ্ভূত সমস্যার ঐশী বিধান নিয়ে তিনি এসেছেন।
রাসূল (সা.) এবার খাওলার দিকে তাকিয়ে বলেন, হে খাওলা! তোমার স্বামী ও তোমার ঘটনার সমাধানে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। তখন তিনি তা তেলাওয়াত করেন:
قَدْ سَمِعَ الله قَوْلَ الَّتِي تُجَادِلُكَ فِي زَوْجِهَا وَتَشْتَكِي إِلَى اللَّهُ وَاللَّهُ يَسْمَعُ تَحَاوُرَكُمَا إِنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ بَصِيرٌ
হে নবী! আল্লাহ সেই নারীর কথা শুনেছেন, যে তার স্বামীর সম্পর্কে আপনার সাথে বাদানুবাদ করছে ও মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছে। আল্লাহ আপনাদের কথোপকথন শুনেছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বস্রষ্টা।
রাসূল (সা.) খাওলাকে বলেন, তোমার স্বামীকে বলে দাও একটি গোলাম আযাদ করতে। খাওলা বলেন, হে রাসূল! আযাদ করার মতো তার কাছে কিছুই নেই। তাহলে তাকে দুই মাস লাগাতার রোযা রাখতে বলো সে অতিশয় বৃদ্ধ। এভাবে রোযা রাখার শক্তিও তার নেই। তাহলে তাকে বলো, সে যেন সত্তরজন মিসকিনকে এক ওয়াসক করে খেজুর দিয়ে দেয়। তিনি বলেন, হে রাসূল! তার কাছে খেজুরও নেই। রাসূল (সা.) বলেন, ঠিক আছে, আমি কিছু খেজুর দিয়ে তাকে সহায়তা করব। খাওলা বলেন, তাহলে আমিও তাকে কিছু খেজুর প্রদান করব।
নবিজী (সা.) বলেন তাহলে অনেক ভালো হয়। যাও, তার পক্ষ থেকে এগুলো দান করে দাও। তার নিকট সদাচরণ করো। প্রশংসা সেই মহান সত্তার! যিনি অন্যদের সমস্যা সমাধান করার জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে নম্রতা, ধৈর্য ও সহমর্মিতার গুণ দ্বারা নেয়ামত দান করেছেন। এমনকি সকলের ব্যক্তিগত সমস্যার সমাধানেও তিনি ছিলেন ধৈর্যশীল ও সহনশীল। আমি নিজে আপন স্ত্রী-কন্যাদের সাথে কোমল ও আবেগী আচরণ দক্ষতার অনুশীলন করেছি। এরও পূর্বে করেশি মা ও বোনের সাথে।
তখন আমি কঠিন পরিস্থিতিতে এসব আচরণদক্ষতার অনুশীলন ব্যতীত কেউ এ প্রভাব উপলদ্ধি করতে পারবে না। সম্মানিত ও সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিরাই নারীকে সম্মান করে, সমাজে যার সম্মান আছে, সমাজে ইতর ও নিম্ন শ্রেণীর লোকেরাই শুধুমাত্র নারীকে অসম্মান করে।
বিচক্ষণতা:
তখন, স্ত্রী সহ্য করতে পারে স্বামীর দরিদ্রতা, চেহারার অসৌন্দর্য, বাইরের ব্যস্ততা, কিছুতেই সে মেনে নিতে পারে না স্বামীর দুর্ব্যবহার অসভ্যতা।
No Comment! Be the first one.